আমাদের দেশে প্রেগনেন্সিকে খুব সহজ, স্বাভাবিক একটা ব্যাপার মনে করা হয়। অনেক মা-ই অপরিকল্পিতভাবে ঘন ঘন সন্তান জন্ম দিতে দিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে একজন মায়ের গর্ভাবস্থায় ও প্রসব পরবর্তী পুষ্টি ও যত্নের ব্যাপারটাই অবহেলিত। সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের (মানসিক চাপ বা মানসিক রোগ বা অন্য যেকোন বিষয়) ব্যাপারটা কতোটুকু গুরুত্ব পায় তা সহজেই অনুমান করা যায়। অথচ গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ বা মানসিক রোগ থেকে বাচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা দরকার। যেন কোন প্রকার প্রসব পরবর্তী মনোব্যাধি (psychiatric disorders in pureperium) তৈরি না হয়।
মাতৃস্বাস্থ্য
দেশের মাতৃ স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখাগুলো এই ক্যাটাগরির মধ্যে থাকবে। এখানে মাতৃস্বাস্থ্য বলতে আমরা মুলত নারীস্বাস্থ্য বোঝাচ্ছি। তবে, আমাদের লেখাগুলো মুলত মায়েদের স্বাস্থ্য, প্রসবকালীন, প্রসবপুর্ব, প্রসবপরবর্তী বিভিন্ন দিকের বিষয়ে ফোকাস করবে।
স্তন ক্যান্সারঃ নারীদের ১নং ঘাতক
একটা সময় ছিল আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ মারা যেত বিভিন্নরকম সংক্রামক রোগে ভুগে। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে ধীরে ধীরে রোগের ধরনেও পরিবর্তন আসছে। অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন আগের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এর এক কারণ হতে পারে এখন আগের চেয়ে বেশি রোগ সনাক্ত হচ্ছে অথবা হয়ত রোগের পরিমানই বেড়ে যাচ্ছে। এই রোগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হচ্ছে কর্কট রোগ (cancer)। দেশে মৃত্যুর ১৩% হয় এই ক্যান্সার থেকে। পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় ফুসফুসের ক্যান্সার আর নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে নারীদের মধ্যে লজ্জা কাজ করে। এছাড়া সন্দেহ করতেও অনেক ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। এটা দূর করার একই রাস্তা। সচেতনতা।